নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এতে শিক্ষকসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশের আরো দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত ছিল।
আজ বুধবার বিকেলে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ।
তিনি বলেছেন, পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। কলেজ ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে। আমরা এই অনিরাপত্তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সেটা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মোশাররফ নামে এক শিক্ষার্থী স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানতে পেরেছি। রজত ও কানন নামে আরো দুজন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও উন্নতির দিকে। আমরা কলেজের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি। ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন। চিকিৎসার সব ব্যবস্থার নিশ্চয়তা তিনি দিয়েছেন।
হল বন্ধের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও হল বন্ধের সিদ্ধান্তটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তটি ঢাকা কলেজ বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। হল খোলা বা বন্ধের সিদ্ধান্ত কলেজ নিজে থেকে নিতে পারে না। সেটার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত লাগবে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বন্ধের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। ছাত্রদের বেশকিছু সমস্যা থাকায় হল ছাড়তে সময় লাগছে।
তিনি বলেন, ‘দোকানপাট খোলার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানানো হয়নি। যেহেতু বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তাই বিষয়টি আমাদের জানানো দরকার ছিল। ’